সুদানে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে গুলি, নিহত বেড়ে ১৫
২০১৯ সালে আফ্রিকার দেশ সুদানের দীর্ঘদিনের শাসক ওমার-আল-বাশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে বেসামরিক ও সামরিক নেতাদের মধ্যে নানামুখী দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সেই দ্বন্দ্ব বাড়তে বাড়তে শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় সেনা অভ্যুত্থানে। গত ২৫ অক্টোবর দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলে নিয়েছে। বন্দি করেছে অন্তবর্তীকালিন সরকারের সদস্য ও অন্যান্য নেতাদের।
এদিকে এই ঘটনার পর পর সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী মিছিলে নামে শত শত মানুষ। দেশটির সাধারণ জনগণের সমর্থনে অভ্যুত্থানবিরোধীদের আন্দোলন আরো জোরদার হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর জাতীয় পাতাকা হাতে বিক্ষোভে ভেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নির্বিচারে গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এসময় বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এক পর্যায়ে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। দুপক্ষের সংঘর্ষে হতহাত হন অনেকে।
আরো পড়ুন: কাবুলে যাত্রিবাহী মিনিবাস বিস্ফোরণ, আইএসের দায় স্বীকার
গতকাল বুধবার অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে আবারো গুলি চালিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনায় মোট ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন বহু মানুষ।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই নতুন সেনাশাসনের বিরোধিতা করে আসছে দেশটির হাজার হাজার মানুষ। প্রতিদিনই রাজপথে বিক্ষোভ করছেন তারা। বুধবারও রাজধানীর খার্তুম, বাহরি এবং ওমদুরমান শহরে মিছিল চলছিল বিক্ষোভকারীদের।
এই মিছিলেই গুলি এবং টিয়ার গ্যাস ছোড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা। একইসঙ্গে শহরগুলোতে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় মোবাইল সংযোগ। এই ঘটনায় প্রথমে দশ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫ জনে। যদিও এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সুদানের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: আলজাজিরা, রয়টার্স