Prottashitoalo

সপ্তম ব্যালন ডি’অর মেসির হাতে

0 10

এবার সপ্তমবারের মত ব্যালন ডি অর জয় করে রেকর্ড গড়েছেন লিওনেল মেসি। সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের আলো ঝলমলে থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটের অডিটোরিয়ামে মেসির হাতে তুলে দেয়া হয় এই পুরস্কার। এতে ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যালন ডি’অর অর্জনের রেকর্ডে নিজেকে ছাড়িয়ে যান মেসি। একই সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ধরা-ছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি।

গত ৮ অক্টোবর ঘোষণা করা হয় ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা। যেখানে লিওনেল মেসি ছাড়াও ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী রবার্ট লেভান্ডোভস্কি, রোনালদো ও নেইমার। ৩০ জনের লম্বা লিস্ট থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলে ভোটাভুটি। ১৮০ জন নির্বাচিত সাংবাদিকের মধ্যে ভোটে সেই তালিকা ছোট করে পাঁচ জনে আনা হয়। এরপর পঞ্চাশজন বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক একটি পয়েন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়কে ভোট দেন।

ব্যালন ডি’অরের জন্য গত মৌমুমে একজন খেলোয়াড়ের মোট গোল, অ্যাসিস্ট, নির্দিষ্ট সেই খেলোয়াড়ের দলের পারফরম্যান্সের বিষয়টি বিবেচনায় আনা হয়। বিশ্বখ্যাত এই পুরস্কারটির জন্য খেলোয়াড়ের জেতা ট্রফিগুলোও হিসেব করা হয়।গত মৌসুমে স্প্যানিশ লা লিগায় বার্সেলোনার হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করে পিচিচি ট্রফি জিতেছেন মেসি।

এছাড়াও চলতি বছর আর্জেন্টিনার হয়ে জিতেছেন প্রথম শিরোপা। ২৮ বছরের খরা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতান মেসি। এজন্য ল্যাটিন আমেরিকান অঞ্চলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন ৩৪ বছর বয়সী মেসি।

এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সাতবার এই পুরস্কার জিতেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। তার পরের নামটি রোনালদোর। তিনি জিতেছেন পাঁচবার।

২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো এ পুরষ্কার জিতেছিলেন তিনি। এরপর ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫ ও ২০১৯ সালের পর আবার জিতলেন চলতি মৌসুমে বার্সা থেকে পিএসজিতে যোগ দেওয়া এ মহাতারকা।

১৯৫৬ সাল থেকে প্রতি বছর সেরা খেলোয়াড়কে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রথমদিকে শুধু ইউরোপিয়ান খেলোয়াড়দেরই দেয়া হতো এ পুরষ্কার। ১৯৯৬ সাল থেকে ইউরোপের ক্লাবে খেলা ফুটবলারদের আওতায় আনা হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে এ পুরস্কারটা উন্মুক্ত করে দেয়া হয় গোটা বিশ্বের জন্য।

১৮০ জন সাংবাদিকের ভোটে প্রথমে ৩০ জন শীর্ষ ফুটবলারের তালিকা প্রকাশ হয়। এরপর সে তালিকা থেকে ৫০ জন বিশেষজ্ঞ সাংবাদিক নির্বাচন করবেন শীর্ষ পাঁচ খেলোয়াড়কে। প্রত্যেকের দেওয়া ভোটের ক্রমানুসারে পয়েন্ট গণনা করা হয়। তালিকার প্রথমে রাখা খেলোয়াড় পান ছয় পয়েন্ট।

তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা খেলোয়াড় পান চার পয়েন্ট। এভাবে ক্রমানুসারে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম ফুটবলার পান যথাক্রমে তিন, দুই ও এক পয়েন্ট। সবশেষে মোট পয়েন্টের হিসেবে যিনি প্রথম হন, তার হাতেই ওঠে ব্যালন ডি’অর।

Comments
Loading...