Prottashitoalo

পদ্মা সেতুর ৩৫তম স্প্যান বসানোর সময় পেছালো

0 61

পদ্মা নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে ৩৫তম স্প্যান বসানোর সময় পেছানো হয়েছে। সেতু কর্তৃপক্ষের সিডিউল অনুযায়ী ৩০ অক্টোবর ৩৫ নম্বর স্প্যানটি বসানোর সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু নাব্য সংকটের কারণে ওইদিন হয়ত স্প্যানটি বসানো সম্ভব হবে না। তাই সিডিউলে ১ দিন বাড়িয়ে রাখা হয়েছে।

জানা যায়, ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর ২-বি নামের স্প্যানটি বসানোর কথা ছিল। কিন্তু খরস্রোতা পদ্মা নদীর এই দুই পিলারের নিচে আকস্মিক নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এমন অবস্থায় ৩২শ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে পিলারের কাছে যেতে পারবে না স্প্যানবাহী ক্রেন ‘তিয়ান-ই’। তাই এখন অপেক্ষা ড্রেজিংয়ের জন্য।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জানান, ৮ ও ৯ নম্বর পিলারগুলোর আশপাশে কয়েকদিন আগেও পানির গভীরতা ছিল ৭০ ফুটের বেশি। কিন্তু এখন সেখানে পানি আছে মাত্র ৭ ফুট। এই পরিস্থিতিতে স্প্যান বহনকারী ‘তিয়ান-ই’ ক্রেনের পিলারের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই সেটি এখনো মাওয়া প্রান্তের ডকইয়ার্ডের জেটির কাছে অপেক্ষায় রয়েছে। ড্রেজিং করে নাব্য ফেরানোর পর ‘তিয়ান-ই’ রওনা হবে গন্তব্যে।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত বিমান চলাচল শুরু

নাব্য ফেরানোর পর স্প্যাটি বসিয়ে দেয়া হবে নির্দিষ্ট পিলারের ওপর। আর এই ৩৫তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হবে পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ২৫০ মিটার। তাই নাব্য সংকট নিরসনে নির্দিষ্ট স্থানে ড্রেজিং কাজ অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোত, বন্যা ও করোনার কারণে দীর্ঘ ৪ মাস পদ্মা সেতুর স্প্যান বসানো বন্ধ ছিল। সকল দুর্যোগ কাটিয়ে চলতি মাসের ১১ তারিখে বসানো হয় ৩২তম স্প্যানটি। এর পর ১৯ ও ২৫ তারিখে বসানো হয় ৩৩ ও ৩৪তম স্প্যান। আর ৩০ তারিখে বসানোর কথা ছিল ৩৫তম স্প্যান।

প্রসঙ্গত, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুটি মোট ৪২টি পিলারের ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি ও জাজিরা প্রান্তে ২১টি পিলার রয়েছে। আর এই ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান।

ইতোমধ্যে ৩৪টি স্প্যান বসে গেছে। বাকি ৭টি স্প্যান মাওয়া প্রান্তে বাকি পিলারের উপর বাসার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ডক ইয়ার্ডে।

Comments
Loading...