Prottashitoalo

নির্বাচনকে সামনে ঘিরে উত্তাল ব্যাডমিন্টন

0 55

স্পোর্টস ডেস্ক: করোনা মহামারির জন্য ব্যাডমিন্টনে নির্বাচনকালীন অ্যাডহক কমিটি হয়নি। সম্প্রতি সীমিত আকারে খেলাধুলা আয়োজনের নির্দেশনা মিলেছে। তবে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১লা সেপ্টেম্বর। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠে নেমে পড়েছেন ব্যাডমিন্টনের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে বর্তমান কমিটির ব্যর্থতার বিস্তারিত তুলে ধরে সাবেক সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অভিযোগপত্র যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে জমা পড়েছে বলে জানা গেছে।

দীর্ঘদিন ধরে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনে শাটলারদের নিয়ে যতোটা না আলোচনা হয়, তার চেয়ে বেশি সমালোচনা হয় কর্মকর্তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড নিয়ে। সামপ্রতিককালে ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের নানা কার্যক্রমে এই ডিসিপ্লিন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অনেকেই। অথচ ব্যাডমিন্টনের সুদিন ফিরিয়ে আনতে কোনো মাথাব্যথ্যা নেই সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহারের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটির।

আরও পড়ুন: পাকিস্তান ক্রিকেটের কাছে ঋণী ইংল্যান্ড : স্কাই স্পোর্ট

তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠছেন প্রতিপক্ষরা। তাই তারা প্রতিমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়ী ফি.ম শামসুল আরেফিন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরের বছর দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। ওই সময়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)কে পাশ কাটিয়ে এবং নির্বাচন উপেক্ষা করে ব্যাডমিন্টনের সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসেন তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি আমির হোসেন বাহার।

জানা গেছে, এই ঘটনার পর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা প্রথম যুগ্ম সম্পাদক গোলাম আজিজ জিলানী পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে আর ফেডারেশনমুখো হননি। অভিযোগে জানা যায়, তিনি নিয়মকানুনের বালাই না রেখে সহ-সভাপতিদের ক্রম পরিবর্তন করেছেন। একজন সদস্যকে সহ-সভাপতি করেছেন এবং শূন্য পদগুলো পূরণ করেন নাই। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার ৯০ দিন আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি না দিয়ে সমপ্রতি ফেডারেশন থেকে এডহক কমিটি গঠন করার জন্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে চিঠি দিয়ে বিধি ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করেছেন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, এই কমিটির ২৭ সদস্যের মধ্যে ২৪ জনেরই ব্যাডমিন্টন সংশ্লিষ্ট জ্ঞান কিংবা ব্যাকগ্রাউন্ড নেই। বর্তমান কমিটির অনেকেই মামলার আসামি হয়ে জেল খেটেছেন। একজন নারী নির্যাতন মামলায় জেলখাটা আসামি এবং ব্যাডমিন্টনে নারী কেলেঙ্কারির দায়ে
২০১১ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন। ২০১৫ সালে এসএ গেমসের ক্যাম্পে কোচের পদ থেকে বহিষ্কৃত ওই ব্যক্তিসহ বিতর্কিত ব্যক্তিদের সঙ্গে একটি কমিটি গঠন করেন।

লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, ২০১৯ সালের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ২৩ বছর বয়সী একজন ছাত্রকে ফেডারেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে রাখা হয়। যাকে মাসে ১২ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে ফেডারেশনের তহবিল থেকে। অন্য কোনো ফেডারেশনে এমন পদ নেই। এ ছাড়া গত চার বছরে একবারও প্রথম বিভাগ ও দ্বিতীয় বিভাগ ব্যাডমিন্টন লীগ আয়োজন করতে পারেনি বর্তমান কমিটি, যা শাটলারদের রুটি-রুজির একমাত্র পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে।

Comments
Loading...