Prottashitoalo

করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকারকে ৫ দফা প্রস্তাব দিল বিএনপি

0 43

দেশে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। এ অবস্থায় করোনার লাগাম টেনে ধরতে সরকারের কাছে ৫ প্রস্তাব তুলে ধরেছে বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বৈশ্বিক মহামারি করোনা নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশকে রক্ষার প্রয়োজনে বিএনপির পক্ষ থেকে পাঁচটি সমন্বিত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সরকারকে সর্বাত্মক পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

১. লকডাউন কার্যকর করতে দরিদ্র মানুষকে ঘরে রাখতে তাদের এককালীন ১৫ হাজার টাকা নগদ এবং খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে হবে।

২. মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে এবং মাস্ক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

৩. অন্তত ৮০ শতাংশ জনগণকে অতি দ্রুত টিকা দিতে হবে। এ জন্য একটি সমন্বিত ও সুনির্দিষ্ট রোড-ম্যাপ প্রণয়ন করে জাতির সামনে উপস্থাপন এবং তা বাস্তবায়ন করতে হবে। অবিলম্বে দেশে টিকা উৎপাদনের কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. বর্তমানে সারাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মক স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ, আইসিইউ ও করোনা বেড বাড়ানোসহ অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসাসামগ্রী ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে হবে।

৫.অনেক বিলম্ব হলেও এখনই দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সব রাজনৈতিক দল, এনজিও ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি জাতীয় আপৎকালীন পরামর্শক কমিটি গঠন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই পাঁচটি জিনিস করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রধান টার্গেট হিসেবে নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যে লড়াই সেটা বস্তুত একটি দীর্ঘস্থায়ী লড়াই।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের জিডিপি’র ৬-৭ শতাংশ অর্থাৎ বর্তমান ৬ লাখ কোটি টাকার বিরাট বাজেটের একটি সামান্য অংশ এ খাতে বরাদ্দ করলেই দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দেওয়া সম্ভব। যা দরকার, সেটা হলো সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা। ঐক্যবদ্ধভাবে এ মহাসংকট মোকাবিলার জন্য আমাদের দলের পক্ষ থেকে পুনরায় উদাত্ত আহ্বান জানাই।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

৫. অনেক বিলম্ব হলেও এখনই দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সব রাজনৈতিক দল, এনজিও ও সামাজিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি জাতীয় আপৎকালীন পরামর্শক কমিটি গঠন করতে হবে।

Comments
Loading...