Prottashitoalo

কেন্দ্রের সরকারের আইনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে: মোদি

0 30

কখনো নাগরিকত্ব আইন, কখনো সংস্কারমুখী কৃষি আইন বা শ্রম আইন ঘিরে ‘মিথ্যা প্রচারে’ নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে বিজেপি সরকারকে। এই ‘মিথ্যা প্রচারের’ পিছনে বড় মাপের রাজনৈতিক চক্রান্ত থাকতে পারে বলে অভিযোগ তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ৬ এপ্রিল দলের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে তিনি এই অভিযোগ করেন। এসময় জনসচেতনতা বাড়াতে দলের সব কর্মীকে এগিয়ে আসার ডাকও দেন তিনি।

নিজের বক্তব্যে কেন্দ্র তথা একের পর এক রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দখল নিয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপিকে অনেকেই ভোট জয়ের মেশিন হিসেবে বর্ণনা করে থাকে। অথচ এরা ভুলে যায় দেশের মানুষের মন জয় করার নিরন্তর প্রচেষ্টাই জয়ের অন্যতম কারণ। আসলে বিরোধীদের ওই ব্যাখ্যার মধ্যে দ্বিচারিতা রয়েছে। যদি আমরা জিতি, তা হলে বলা হয় বিজেপি ভোট জয়ের মেশিন। কিন্তু যদি অন্য দল জেতে, সে ক্ষেত্রে তাদের নেতাদের প্রশংসা করা হয়। যারা বলে বিজেপি কেবল ভোট জয়ের মেশিন, তারা যেমন সংবিধানকে মানেন না, তেমনি ভোটারদের বুদ্ধি-বিবেচনাকেও বুঝতে ভুল করেন। তারা কখনোই ভারতীয় ভোটারদের আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নকে ধরতে পারেন না।’’

নাগরিকত্ব আইন দেড় বছর আগে পাশ করেও রূপায়ণ করতে পারেনি মোদি সরকার। নতুন শ্রম আইন ঘিরেও দেখা দিয়েছে বিতর্ক। আর সংস্কারমুখী কৃষি আইনের বিরুদ্ধে চার মাসের বেশি সময় ধরে দিল্লি ঘেরাও করে রেখেছেন কৃষকেরা। ফলে সার্বিক ভাবে সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোটা দেশ জুড়েই। সংশয় তৈরি হয়েছে দলের মধ্যেও।

আরো পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯১

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমর্থকদের উদ্দেশে বার্তা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনস্বার্থেই সব নীতি এনেছে বিজেপি সরকার। কিন্তু বিরোধী কিছু দল পরাজয় স্বীকার করতে না পেরে কেন্দ্রের সরকারের নীতি-সিদ্ধান্ত বা আইনের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে।

মোদির বলেন, ‘‘এরা কখনো মানুষকে বোঝাচ্ছে সংবিধান পাল্টে দেওয়া হবে, কখনো বলছে সংরক্ষণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। কখনো বলছে, সরকার কৃষকদের জমি কেড়ে নেবে। আসলে সংকীর্ণ স্বার্থের জন্য মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। প্রতিটি সমর্থককে বুঝতে হবে, এর পিছনে বড় মাপের ষড়যন্ত্র রয়েছে, যাদের লক্ষ্যই হল দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করা।’’ এর আগে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল তৈরি হওয়াতেও চক্রান্তের তত্ত্ব খাড়া করেছিল কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, বিজেপির উৎস ১৯৫১ সালে পশ্চিমবঙ্গের জন্মদাতা ভারতকেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় জনসংঘ দলটি। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার পর জনসংঘ একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে জনতা পার্টি গঠন করে। ১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে সরকার গঠন করে। ১৯৮০ সালে জনতা পার্টি অবলুপ্ত হলে জনসংঘের প্রাক্তন সদস্যরা বিজেপি গঠন করেন। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

Comments
Loading...