Prottashitoalo

এমসি কলেজে ধর্ষণ মামলায় রিমান্ডে মাহফুজ

0 34

সিলেটের এমসি (মুরারিচাঁদ) কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে গণধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তারকৃত মাহফুজুর রহমান মাসুমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মাহফুজ এই মামলার ৬ নম্বর আসামি।

আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে মাহফুজুর রহমান মাসুমকে আদালতে উপস্থাপন করে পুলিশ। এ সময় তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

এদিকে এ ঘটনায় আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে ধর্ষণকাণ্ডে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর মধ্যে ছয়জনই এজাহারভুক্ত আসামি। এ ছাড়া আগের দিন গ্রেপ্তার তিনজনকে গতকাল মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকালও আসামিদের পক্ষে আদালতে কোনো আইনজীবী দাঁড়াননি।

এদিকে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ ঘটনা তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তিন সদস্যের কমিটি গতকালই কলেজে এসে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত কমিটি প্রথম দিন অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

গতকাল সন্ধ্যায় মামলার এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি তারেকুল ইসলাম তারেককে সুনামগঞ্জের দিরাই থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারেক সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উমেদনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত সোমবার রাতে জৈন্তাপুর উপজেলা থেকে মামলার ৬ নম্বর আসামি ছাত্রলীগকর্মী মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি এমসি কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের লামা দলইকান্দি গ্রামের বাসিন্দা সালিক আহমদের ছেলে। গতকাল সকালে তাঁকে শাহপরান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আগের দিন গ্রেপ্তার তিনজনকে গতকাল আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। তাঁরা হচ্ছেন মামলায় এজাহারনামীয় আসামি মাহমুদুর রহমান রনি এবং সন্দেহভাজন আসামি রাজন ও আইনুদ্দিন। গতকাল দুপুরে সিলেট মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট-২ আদালতের বিচারক সাইফুর রহমানের আদালতে তাঁদের হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য। আদালত শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তবে আদালতে আগের দিনের মতো গতকালও আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

আরো পড়ুন:- ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও মহামারি মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি’

গত শুক্রবার রাতে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের একদল কর্মী। স্বামীর সঙ্গে ওই তরুণী কলেজে বেড়াতে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় ওই তরুণীর স্বামী ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অচেনা আরো তিনজনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা করেন।

Comments
Loading...