৪৫০ বছরের প্রাচীন মসজিদের সন্ধান
নাইম ইসলাম : নাটোরের গুরুদাসপুরে ঐতিহাসিক স্থাপনা ও পুরাকীর্তির সন্ধানে অভিযান শুরু করেছেন সদ্য করোনামুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি গ্রামে আনুমানিক ১৫৬৫ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত একটি প্রাচীন মসজিদের সন্ধান পেয়েছেন তিনি।
জানা যায়, মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৩৭ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং প্রস্থ ১৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। মসজিদের তিনটি গম্বুজ রয়েছে। দেয়ালের ভীত ৩ ফুট। মাঝের বড় গম্বুজের বৃত্ত ৩৯ ফুট ৮ ইঞ্চি। পূর্বদিকে দুটি দরজা আছে- যার দৈর্ঘ্য ২ ফুট ৭ ইঞ্চি। ইট, চুন ও সুরকি দিয়ে গাঁথা মসজিদটির ভিতরে ও বাইরে সদৃশ্য নকশা করা আছে।
আলাদাভাবে দুই সারিতে একসাথে ৪০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। গম্বুজ তিনটিতে বট-পাইকর গাছ ও আগাছা জন্ম নেওয়ায় শেকড়গুলো ছাদ ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করায় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন অযন্ত অবহেলায় পড়ে থাকা এবং বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করায় মসজিদটি এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
গুরুদাসপুরের ক্রীড়া সংস্কৃতিকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি সৃজনশীল বিভিন্ন কর্মকান্ডে উন্নয়নমূলক অবদান রাখায় ইতিপূর্বেও আলোচিত ও আলোকিত হয়েছেন ইউএনও তমাল হোসেন।
তিনি জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এ ধরণের একাধিক ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে। ইতোমধ্যে চাপিলার শাহী জামে মসজিদ, গোপিনাথপুর-বৃগড়িলা জামে মসজিদ ও পাটপাড়া জামে মসজিদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলো পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের উদ্যোগ নিবেন তিনি।
আরো পড়ুন:- ওসি প্রদীপসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
উপজেলার দুই কর্মকর্তা সহকারী প্রোগ্রামার ব্যানবেইস মো. জহির আব্বাস ও সহকারী প্রোগ্রামার আইসিটি মো. শাহিনুর রহমান এবং চার স্বেচ্ছাসেবক কাওছার, সৌমিক, প্রীতম ও বুলবুলের সহযোগিতায় এসব পুরাকীর্তির সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।