রোগ সম্পর্কে জানতে ইন্টারনেট সার্চ করেন? সাবধান!
ইন্টারনেটের কারণে এখন সবকিছু হাতের মুঠোয় চলে এসেছে সবার। কিন্তু এর ভুল ব্যবহারে হতে পারে বিপরীত। যেমন অনেকেই শরীর একটু খারাপ হলেই নিয়ে বসেন ইন্টারনেট। সেই উপকরণ দেখে নিজে নিজেই ডাক্তারি করতে বসেন। হাতের মুঠোর স্মার্ট ফোন কি আপনাকে প্রাথমিকভাবে ডাক্তার বানিয়েছে?
কমবেশি সকলেই বর্তমানে ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে। ঘরোয়া টোটকা থেকে অনলাইন শপিং সবেতেই কামাল ইন্টারনেটের। হাতের মুঠোয় গোটা পৃথিবী এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে মোবাইলের ছোট্ট স্ক্রিনে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই অনেকেই রোগের উপসর্গ ও সমস্যা সম্পর্কে ইন্টারনেটে তথ্য জানার চেষ্টা করেন। ইন্টারনেট দেখে অনেকেরই ডাক্তারি করার অভ্যাস রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, ইন্টারনেটে রোগের বৈশিষ্ট্য দেখে রোগকে বিশ্লেষণ করা যায়, তবে ডাক্তারের বিকল্প কখনো ইন্টারনেট হতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রেই রোগের লক্ষণ দিয়ে খোঁজার চেষ্টা কাউকে আরও ‘অসুস্থ’ করে তুলতে পারে যা একেবারেই হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই শরীর খারাপের যে কোনো লক্ষণ দেখলেই, দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ইন্টারনেটে রোগ সম্পর্কে খোঁজখবরের ফলে হিতে-বিপরীত হতে পারে, ভুল তথ্য যে কোনো মানুষকে অসুস্থ করে তুলতে পারে।
আরো পড়ুন: কোন খাবার খাওয়ার পর পানি পান ঠিক নয়?
জেনে নিন, ইন্টারনেটে রোগ-সংক্রান্ত তথ্য কেন অসুস্থ করে তুলতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, অনেকেরই মাথা ব্যথা হয় এটি সাধারনত কমন, কিন্তু প্রত্যেকের কারণ আলাদা আলাদা, তাই ইন্টারনেটেও নানারকমের তথ্য পাওয়া যায়। ব্রেন টিউমার বা ফ্যাটিগ সংক্রান্ত বিষয়েও সবকিছু তথ্য উঠে আসে। যার ফলে সবথেকে বিপজ্জনক হল এই যে, অফুনন্ত তথ্য নিয়ে মানুষের উদ্বেগ বাড়ে। সেজন্য, ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্যের পর নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অস্বাভাবিক উদ্বেগ তৈরি না করে, সরাসরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাইবারকোন্ড্রিয়ার ফলে রোগী সামান্য কাশি ও ব্যথা হলেও গুরুতর অসুখে আক্রান্ত বলে মনে করতে থাকেন। এর প্রভাব পড়ে তার মানসিক স্বাস্থ্যে। ইন্টারনেটের তথ্যকে ভরসা করে, গ্যাসের জেরে বুক ব্যাথার সমস্যাকেও হার্ট অ্যাটাক বলে মনে করে অনেকেই। যার ফলে অনেকেই অপ্রয়োজনীয়ভাবে ইসিজি, ইকো-র মতো পরীক্ষা করানোর জন্য জোর করতে থাকেন চিকিৎসকেদের কাছে। সাধারণ সমস্যাকে গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ বলে কারুর মনে হতে পারে ইন্টারনেটের তথ্যকে ভরসা করে। আবার গুরুতর অসুখও চাপা পড়ে যেতে পারে ইন্টারনেটের তথ্যকে ভরসা করলে।