বাইডেনকে হুঁশিয়ারি জিনপিংয়ের!
‘যারা আগুন নিয়ে খেলে, শেষ পর্যন্ত নিজেরাই আগুনে পুড়ে যায়’। এমনই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে হুঁশিয়ারি দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে দুই দেশের সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের ফোনালাপের দিকে নজর ছিল সকলেরই। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জিনপিংকে কার্যত হুমকি দিতে দেখা গেল বাইডেনকে। গত নভেম্বরের পরে আবারো কথা বলতে দেখা গেল বাইডেন ও জিনপিংকে।
ঠিক কী বলেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট? বেজিংয়ের সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, প্রায় দুই ঘণ্টার ফোনালাপে জিনপিং বাইডেনকে আগুন নিয়ে খেলতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, ‘যারা আগুন নিয়ে খেলে, শেষ পর্যন্ত নিজেরাই আগুনে পুড়ে যায়। আমি আশা করব আমেরিকা এই বিষয়টি বুঝতে পারবে। তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের অবস্থান একই রকম দৃঢ়। চীনের জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে আমরা স্থিতসংকল্প’।
আরো পড়ুন: ফের পরমাণু যুদ্ধের হুমকি উত্তর কোরিয়ার
উল্লেখ্য, বরাবরই তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ হিসেবে দাবি করে এসেছে চীন। তবে বেজিংয়ের ক্ষমতার রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরো আগ্রাসী হয়ে উঠেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একাধিকবার জোর করে তাইওয়ান দখলের কথাও বলেছেন প্রেসিডেন্ট শি। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে। আগামী সপ্তাহেই এশিয়া সফরে যাওয়ার কথা ন্যান্সির। আর সেই সফরেই তাইওয়ানেও যাবেন তিনি। ইতিমধ্যেই ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তার সঙ্গে তাইওয়ানে যাওয়ার জন্য।
যদি শেষ পর্যন্ত সত্যিই তিনি তাইওয়ান যান, তাহলে গত ২৫ বছরে তিনিই হবেন প্রথম হাউস স্পিকার যিনি সেই দেশের মাটিতে পা রাখবেন। স্বাভাবিকভাবেই তাইওয়ানে মার্কিন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির আগমনে খুশি নয় চীন। এহেন পরিস্থিতিতে বাইডেন ও জিনপিংয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হবে, এটাই হয়তো স্বাভাবিক। তবে বাইডেন চীনা হুমকির উত্তরে কী বলেছেন, তা এখনো জানা যায়নি। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন