বগুড়ায় ভূমি ও গৃহহীন ৩৫৪ পরিবার ঘর পাচ্ছে
বগুড়া জেলায় প্রান্তিক, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার তৃতীয় পর্যায়ে দ্বিতীয় ধাপে ৩৫৪টি ঘর পাচ্ছে। ২১ জুলাই সারাদেশের মত বগুড়াতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জেলার ৩৫৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে ঘর বিতরণ করবেন। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিতরণ কর্মসূটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকালে বগুড়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভা কক্ষে এক সাংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশের এক জনমানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না। প্রধ্যনমন্ত্রীর ঘোষাণা বাস্তবায়নে ২ শতাংশ করে খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান পূর্বক ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে একক গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে বরাদ্দের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে গ্রাম বাংলার প্রান্তিক ভূমিহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদানের করার হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ জুলাই বগুড়া জেলার নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেরাকে শতভাগ ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ক তালিকাভুক্ত ভূমিহীন পরিবার সংখ্যা ৩২৯টি। ২১ জুলাই ১০ টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে দুপচাঁয়িার ৩২৯ উপকার ভোগী পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেয় হবে।
এছাড়া নন্দীগ্রাম উপজেলায় ক তালিকা ভুক্ত ভূমিহীনপরিবারেরসংখ্যা ৪০৪টি। ২১ জুলাই ৪০টি ঘর হস্তান্তরের মাধ্যমে এ উপজেলারসব উপকারভোগী পরিবার ঘর বুঝে পাবেন।
আরো পড়ুন: বাস-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫
জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক জানান, দেশে কেউ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন কাজ করছে। এ ছাড়া আরো কিছু ঘর হস্তান্তর করাহবে। নন্দীগ্রাম ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসনের শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। সে কারণে আগামী ২১ জুলাই প্রধানমন্ত্রী এ দুই উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে যাচ্ছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। এর আওতায় বগুড়ায় ৪ হাজার ৭৪টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ঘর পেয়েছেন ১ হাজার ৪৫২ পরিবার। দ্বিতীয় পর্যায়ে একই বছরের জুনে বিতরণ করা হয় ৮৫৭টি ঘর। তৃতীয় পর্যায়ে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিতরণ করা হয়েছে ৯৩০টি। আগামী ২১ জুলাই চতুর্থ দফায় ৩৫৪টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।