নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়
নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক এক জয় পেল বাংলাদেশ। এর আগে নিউজিল্যান্ডে কোনো ফরম্যাটেই জেতেনি টাইগার বাহিনী। তবে এবার ইতিহাস গড়ে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতলো বাংলার দামাল ছেলেরা। অন্যদিকে নিজ দেশে টানা ১৭ টেস্ট অপরাজিত থাকার পর হারের মুখ দেখলো কিউইরা।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৫৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ১৬৯ রান করলে জয়ের জন্য ৪০ রানের টার্গেট পায় মুমিনুল হক বাহিনী।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) ৪০ রানের টার্গেট দুই উইকেট হারিয়ে হেসেখেলে পেরিয়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭, মুমিনুল ১৩ ও মুশফিকুর রহিম ৫ রান করেন। শান্তকে আউট করেন কাইলে জেমিসন। এর আগে ৩ রান করা সাদমান ইসলামকে সাজঘরে পাঠান টিম সাউদি।
টাইগারদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১৬৯ রানে। পঞ্চম দিনের শুরুতেই জোড়া উইকেট নেন এবাদত হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। দিনের শুরুতেই আগের দিনের অপরাজিত থাকা রস টেলরকে সাজঘরে পাঠান টাইগার পেসার এবাদত। এবাদতের বল সরাসরি স্টাম্পে আঘাত হানে টেলরের। ১০৪ বলে তিনি করেন ৪০ রান। এ উইকেটের ফলে ৫ উইকেট পূর্ণ হয় এবাদতের। টেস্টে বাংলাদেশের পেসারদের এটি ৯ বছর পর প্রথম কোনো পাঁচ উইকেট শিকারের ঘটনা। টেলরকে বিদায় করার পর এবাদতের শিকারে পরিণত হন কাইলে জেমিসনও। শরিফুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। নামের পাশে কোনো রানই তুলতে পারেননি জেমিসন।
আরো পড়ুন: ভুটানকে উড়িয়ে টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশের মেয়েরা
এরপর তাসকিন আহমেদ তুলে নিলেন রাচীন রবীন্দ্রর উইকেট। রবীন্দ্রর পর তাসকিন নিয়েছেন টিম সাউদির উইকেটও। এদের মধ্যে রবীন্দ্র ১৬ ও সাউদি শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ৮ রান করা বোল্টকে ফেরত পাঠান মিরাজ। বাংলাদেশের হয়ে এ ইনিংসে ৪৬ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নেন এবাদত। তাসকিন নেন ৩ উইকেট।
এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩২৮ রান করে নিউজিল্যান্ড। স্বাগতিকদের হয়ে সেঞ্চুরি করেন ডেভন কনওয়ে। ২২৭ বলে ১২২ রান করে টাইগার দলপতি মুমিনুল হকের শিকার হন তিনি। হেনরি নিকোলস ও উইল ইয়াং পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি। নিকোলস ৭৫ ও ইয়াং ৫২ রান করেন। বাকিদের মধ্যে রস টেলর ৩১, টম ব্লান্ডেল ১১ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মুমিনুল ২ উইকেট ও এবাদত এক উইকেট পান।
জবাবে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থামে ৪৫৮ রানে। টাইগারদের হয়ে চারজন ব্যাটারে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আউট হন। নাজমুল হোসেন শান্ত ৬৪ রানে ও মাহমুদুল হাসান জয় ৭৮ রানে নিজেদের উইকেট হারান। এরপর মুমিনুল ৮৮ রান করে আউট হন ট্রেন্ট বোল্টের বলে। মিডল অর্ডারে লিটন দাস করেন ৮ রান। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকে ৪৭ ও ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাট খেবে ২৬ রান আসে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪ উইকেট নেন বোল্ট। তিন উইকেট পান নেইল ওয়েগনার।