নভেম্বরের পর করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ বন্ধ
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা ভাইরাসের টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক জানিয়েছে, দেশে চলতি বছরের নভেম্বরের পর টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ আর দেয়া হবে। এরপর থেকে সরকার শুধু বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের টিকা দেবে।
মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) তিনি এ তথ্য জানান।
শামসুল হক জানান, নভেম্বরের পর অনেক টিকার আর মেয়াদ থাকবে না। তাই নভেম্বরের পর কেউ প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ চাইলে পাবেন না। এছাড়া নতুন করে টিকা কেনার সম্ভবনাও কম। তবে চলমান থাকবে বুস্টার ডোজের কার্যক্রম। আগস্ট থেকে টিকা পাবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুরা।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, এখনো প্রায় দেড় কোটি টিকা মজুত আছে। কোনো টিকা ২১, কোনো টিকা ২৩ এবং কোনো টিকা ৩০ নভেম্বরের পর আর ব্যবহার করা যাবে না। ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনো প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।
আরো পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ৫ জনের মৃত্যু, বেড়েছে শনাক্ত
স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটি ৩ লাখ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, দেশে জনসংখ্যার ৭৬ শতাংশ করোনার টিকার প্রথম ডোজ এবং ৭১ শতাংশ দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে। আর ২৩ শতাংশ পেয়েছে বুস্টার ডোজ।
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০২২ সালের জুনের মধ্যে কোনো দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে পূর্ণ দুই ডোজ টিকার আওতায় আনার কথা বলেছিল। জুন মাস শেষ হওয়ার আগেই বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়।