Prottashitoalo

এবারের শীতে ঘুরে আসুন পাহাড়-পর্বত থেকে

0 455

দেশে শীতকাল মানেই বিনোদনের মোক্ষম সময়। এ সময় ঘুরতে যাওয়া, অনুষ্ঠানের আয়োজন করা- সবকিছুতেই যেন স্বস্তি মেলে। বিশেষ করে এক জায়গা থকে আরেক জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। যারা ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন তারা নিশ্চয়ই এই শীতকালে বসে থাকবেন না। আর নতুন নতুন জায়গায় যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তারা ইচ্ছা করলে এসময়টা বিভিন্ন পাহাড় দেখে আসতে পারেন। পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত আর ভেসে বেড়ানো মেঘ দেখে মনে হবে আরেকটু হলেই ছোয়া যাবে নীল আকাশটা! চলুন ভ্রমণ করতে যাওয়া যায় এমন কয়েকটি পাহাড় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

নীলগিরি
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরের এ পর্যটন কেন্দ্রটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এখান থেকে মেঘ ছুঁতে পারেন পর্যটকরা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিচালিত এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে কয়েকটি রিসোর্টও আছে। অনেকেই মেঘের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার টাকা খরচ করে প্রতিবেশী দেশে যান দার্জিলিং দেখতে। কিন্তু আমাদের এ নীলগিরি রূপ-মাধুর্যে ওপারের দার্জিলিংয়ের চেয়ে কম কিসে? কৃতি যেন তার সবটুকু সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে বসে পর্যটক মনে আনন্দ দিতে।
নীলগিরি বান্দরবন | কিভাবে ঘুরে আসবেন বাংলার দার্জিলিং?নীলগিরি ছাড়া বান্দরবানে বগালেক, চিম্বুক পাহাড়, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, পাহাড় চূড়ার স্বর্ণমন্দিরসহ আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। নীলগিরি গেলে পথে প্রথমেই চোখে পড়ে পাথুরে ঝরনা শৈলপ্রপাত, পরে চিম্বুক পাহাড়। দু’টোই দেখার মতো। একসঙ্গে পাহাড়, নদী, সমুদ্র, ঝরনাধারা, বন-বনানীর সৌন্দর্যের দেখা মিলে বাংলার। দার্জিলিংখ্যাত চিম্বুক পাহাড়ে উঠলে। দক্ষিণে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেখা যায়।

নীলাচল
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে টাইগারপাড়ার পাহাড়চূড়ায় জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট উচ্চতায় এ পর্যটন কেন্দ্রটিতে মেঘের লুকোচুরি দেখা যায়। নীলাচল থেকে পাখির চোখে দেখা যায় বান্দরবান শহরকেও। অপরূপ সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি এই নীলাচল যা টাইগার পাড়া এলাকায় বান্দরবন ট্যুর- শৈল প্রপাত, চিম্বুক পাহাড়, নীলগিরি, রামজাদী মন্দির, নীলাচল – Tedobঅবস্থিত। চারদিকে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়ের ঢালে কোথাও আঁকা-বাঁকা রাস্তা, পাহাড়ী পাড়া আর রূপালী নদী গুলো যেন শিল্পীর আঁকা ছবি। এই পাহাড় থেকে এক নজরে দেখা যাবে পুরো বান্দরবান শহর। সুর্যোদয় আর সুর্যাস্ত দেখা যেতে পারে এখান থেকেও। নীলাচল পাহাড়ি এলাকাটি অনেকেই স্বর্গভূমি বলে থাকেন। মেঘমুক্ত আকাশে কক্সবাজারর সমুদ্রসৈকতের অপুর্ব দৃশ্য নীলাচল থেকে পর্যটকেরা উপভোগ করতে পারেন। বিশেষকরে নীলাচলে সুর্যাস্তের দৃশ্য আমাদের মনে স্বর্গীয় অনুভূতি আনে। এই জায়গায় বর্ষা, শরৎ কি হেমন্ত— তিন ঋতুতে ছোঁয়া যায় মেঘ।

সাজেক ভ্যালি
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮০০ ফুট উচ্চতায় সাজেক ভ্যালিকে বলা হয় ‘রাঙ্গামাটির ছাদ’। ভৌগোলিক অবস্থান রাঙামাটিতে হলেও যাতায়াতের সহজ পথ খাগড়াছড়ি হয়ে। সাজেকের আশপাশের গ্রামগুলোতে লুসাই,পাংখোয়া এবং ত্রিপুরা আদিবাসীদের বসবাস। কমলা চাষের জন্য বিখ্যাত সাজেকে কফিও চাষ করা হয়।
সাজেক ভ্রমণ গাইড - যাতায়াত, হোটেল রিসোর্ট ও খরচ সহ সাজেক ভ্রমণের সব তথ্যচারিদিকে সারি সারি পাহাড় আর মাঝে মাঝে সাদা তুলোর মত মেঘমালা। যেন সবুজের রাজ্যে সাদা মেঘের হ্রদের পাড়। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশেই রয়েছে এরকম এক মেঘপুরী যার নাম সাজেক ভ্যালী।
সাজেক থেকে ভারতের মিজোরাম মাত্র আট কিলোমিটার দূরে। সাজেকের চারপাশের উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো পড়েছে ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশেই।

আরো পড়ুন:- ৫৫ টাকার কমে পেঁয়াজ বিক্রি করা সম্ভব নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

কেওক্রাডং
কেওক্রাডং (Keokradong) পাহাড় বান্দরবানের রুমা উপজেলায় অবস্থিত। প্রায় ৩১৭২ ফুট উঁচু এ পর্বতকে এক সময় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মনে করা হত কিন্তু আধুনিক পদ্ধতিতে পরিমাপে বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসাবে এর অবস্থান পঞ্চম। কেওক্রাডং নামটি এসেছে স্থানীয় আদিবাসী মারমাদের থেকে। কেওক্রাডং ভ্রমণ গাইড - কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন ও ভ্রমণ খরচমারমা ভাষায় কেওক্রাডং মানে সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়। দূর থেকে কেওক্রাডাং এর চূড়া শূন্যে মিলিয়ে আছে বলে মনে হয়। আর চূড়ায় উঠলে পাহাড় মেঘের মিতালী আপনাকে আন্দোলিত করবে মায়াবী আকর্ষনে।

Comments
Loading...